গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমীকলীগের অফিসকে কেন্দ্র করে তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজারে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭-শে এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, তেলিহাটি ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিক সরকার (৩৫), জহিরুল ইসলাম (২৫), জসিম উদ্দিন (৩০)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শফিক সরকারকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরবর্তীতে তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে শফিক সরকার বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজার এলাকায় ইকবাল সরকারের ছেলে জাহাঙ্গীর সরকার (৩০), নূরুল ইসলামের ছেলে মনির বেপারী (৩২), হাবিজ উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেন (৩০), মৃত আঃ জব্বারের ছেলে চাঁন মিয়া (৩৮), সুরুজের ছেলে নাঈম (২৫), মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর (৩৮), তাইজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন (২২), ইকবাল সরকারের ছেলে আলমগীর (৪০) মোঃ রুবেল (২৫), তাইজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল (২২), মোসলেম উদ্দিনের ছেলে তাইজ উদ্দিন (৪৫), তাইজ উদ্দিনের ছেলে মেহেদী (২০), রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু তালেব (৩২), মোঃ রাজু (২২) সহ আরও অজ্ঞাতসহ ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তেলিহাটি ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিক সরকারকে তেলিহাটি এমসি বাজার শ্রমীকলীগ অফিস থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়া আসিতে থাকে। এরেই ধারাবাহিকতা (২৭- এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে শফিক সরকার তার নিজ দলীয় শ্রমীকলীগ অফিসে বসে দলীয় কয়েকজন নেতা কর্মীদের সাথে রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা সময় উপরোক্ত বিবাদীগন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অফিসে ঢুকে শফিক সরকার সহ তার সঙ্গীদের উপর হামলা চালায় এবং অফিস ভাংচুর করে। একপর্যায়ে শফিক সরকারের মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে৷
অফিসের ভিতরে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং মাননীয় সাংসদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের ছবি সহ অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে।
পরে তাঁর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে শুরু করলে হামলকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিদের রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মোড়ল স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে বিবাদী জাহাঙ্গীর সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।